দুই ফেরির সংঘর্ষে কলেজছাত্রীর মৃত্যু

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে গতকাল মঙ্গলবার দুটি ফেরির সংঘর্ষে ফেরিতে থাকা যানবাহনের ধাক্কায় এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সাজেদা আক্তার (২২)। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইর গ্রামের আবুল কালাম মুন্সির মেয়ে।

সাজেদার বড় বোন সীমা বেগম বলেন, ‘মুকসুদপুরের একটি কলেজ থেকে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল সাজেদার। তার বিয়েও ঠিক ছিল। কয়েক দিন আগে সে ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসে। বেড়ানো শেষে গতকাল সকালে একাই বাড়ি ফিরছিল।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে যানবাহনবোঝাই ইউটিলিটি ফেরি ‘হাসনাহেনা’ ছেড়ে আসে। পাটুরিয়া ঘাটের কাছে সেটির সঙ্গে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ইউটিলিটি ফেরি ‘কপোতী’র যমুনা নদীর চ্যানেলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় হাসনাহেনা ফেরিতে থাকা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী সেবা গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রী সাজেদা বাসটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফেরি দুটির সংঘর্ষে তিনি বাসের ধাক্কায় ছিটকে সামনে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে লেগে আঘাত পান। এতে তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। ফেরিটি বেলা পৌনে তিনটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছালে পুলিশ ও ফেরির লোকজন তাঁকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কাজী শফিউল আযম বলেন, ওই যাত্রীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথার বাঁ পাশ, বাঁ চোখ ও বাঁ হাত মারাত্মক জখম হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।