কাস্টমের পরিদর্শককে ১০ বছর কারাদণ্ড

১০ কেজি সোনা আত্মসাতের মামলায় ঢাকা কাস্টমের একজন পরিদর্শককে ১০ বছর কারাদণ্ড ও চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই অভিযোগ থাকা কাস্টমের এক সহকারী কমিশনারসহ তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় দেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মজিবুর রহমান সরকার। আর খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কাস্টমের সহকারী কমিশনার (এসি) সালাউদ্দিন রিপন, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ফয়সাল চৌধুরী জীবন ও ইসমাইল হোসেন। এঁদের মধ্যে ইসমাইল হোসেন শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় অপর তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর খালাস পাও​য়া সহকারী কমিশনার সালাউদ্দিন রিপনকে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।

মামলাটি দুদকের পক্ষে পরিচালনা করেন মীর আহমেদ আলী সালাম। তিনি বলেন, তাঁরা এ রায়ে অসন্তুষ্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাঁরা আশা করেছিলেন, চারজন আসামিই দোষী সাব্যস্ত হবেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের গুদামের কর্মকর্তা ছিলেন কাস্টমস পরিদর্শক মজিবুর রহমান সরকার। পরে তাঁকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। তাঁর পর ওই পদে যোগ দেন খন্দকার গোলাম মর্তুজা। নিয়ম অনুযায়ী বদলি হওয়ার পরপরই কাস্টম হাউসের গুদামের দায়িত্ব নতুন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিতে হয়। কিন্তু মজিবুর রহমান তাঁকে (গোলাম মর্তুজা) কাস্টম হাউসের মালামাল ও চাবি বুঝিয়ে দেননি। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিকবার মালামাল ও চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ দিলেও তিনি তা না মেনে এড়িয়ে যান।

এরপর বিপুল পরিমাণ সোনা ও অলংকার আত্মসাতের ঘটনা সামনে চলে যায়। গত ৪ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৯৩৮ দশমিক ৪৪ গ্রাম সোনা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলায় প্রাথমিক আসামি করা হয় কাস্টমস ইন্সপেক্টর মুজিবর রহমানকে। পরে দুদকের অনুসন্ধান সাপেক্ষে এ মামলায় কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (ঢাকা) সালাউদ্দিন রিপনকে আসামি করা হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় ফয়সাল চৌধুরী ও ইসমাইল নামের আরও দুই ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক কর্মকর্তা এস এম আখতার হামিদ ভূঁইয়া এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।