পুলিশ হত্যা করেছে বলছে পরিবার, অস্বীকার পুলিশের

যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকা থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিপন হোসেন গাজী (২৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

রিপনের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে রিপনকে গুলি করে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে গেছে। পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতকারীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে রিপন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

নিহত রিপন যশোরের শার্শা উপজেলার ছোট আঁচড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান গাজীর ছেলে। তিনি বাবার পরিবহন ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।

হাসপাতালের মর্গের সামনে রিপনের মামা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দর থানার পুলিশ ছোট আঁচড়া মোড় থেকে রিপনকে ধরে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাত তিনটার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন হাসপাতালে রিপনের লাশ পড়ে আছে।

শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘পুলিশ গুলি করে রিপনকে হত্যা করেছে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ কাউকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করেনি। পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারলে সবারই ভালো লাগে।’

ওসি ইলিয়াস হোসেনের ভাষ্যমতে, বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে খবর আসে পাঁচবাড়িয়া এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে দুষ্কৃতকারীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতকারীরা সটকে পড়ে। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিপনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান (বন্দুক), একটি গুলি ও গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রিপনের নামে বেনাপোল বন্দরসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, মারামারিসহ বিভিন্ন আইনে ১৪টি মামলা রয়েছে।