আখাউড়ায় গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় নদীয়া আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার অসুস্থ অবস্থায় আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নদীয়ার স্বামী মাকসুদ মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামে। তাঁর বাবার বাড়ি একই উপজেলার বরিশল গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবুল হাসেম অসুস্থ অবস্থায় তাঁর পুত্রবধূ নদীয়াকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিষপান নাকি অন্য কোনো কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে, এ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
গৃহবধূর শ্বশুর আবুল হাসেম হাসপাতালে বলেন, ‘সকালে বাড়ির নারী সদস্যদের সঙ্গে নদীয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। আমার ছেলে (মাকসুদ) ঘটনাটি জানার পর স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। বিকেলে নদীয়া ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
তবে নদীয়ার বাবা মো. শাহজাহান অভিযোগ করেন, এর আগেও তাঁর মেয়েকে স্বামীর বাড়ির লোকজন মারধর করেছিল। এবার তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষপানে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা–ও বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তাঁর শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে।