চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার নাজিমকে ডিবি পরিচয়ে মে মাসে তুলে নেওয়া হয়!

চট্টগ্রামে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বৃহস্পতিবার যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাঁদের মধ্যে নাজিম উদ্দিনের (৪২) বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। যশোর পুলিশের প্রকাশিত ১১ জন জঙ্গি সন্দেহভাজনের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। জেলা শহরজুড়ে পুলিশের টাঙানো পোস্টারেও তাঁর ছবি রয়েছে।

মনিরামপুরের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নাজিমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গত ২৫ মে ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করে র‍্যাব। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। নাজিম বাদে গ্রেপ্তার অপর চারজন হলেন তাজুল ইসলাম, আবুজার গিফারি, নূরে আলম এবং ইফতিশাম আহমেদ।

আজ শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর গ্রামে নাজিমের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকেরা চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তির ছবি দেখালে নাজিমের ছোট ভাই আজিমউদ্দিন, মেয়ে ফওজিয়া ইয়াসমিন ওরফে তুবা ও ইয়াসমিন তৈয়বা তাঁকে শনাক্ত করেন।

নাজিমের স্ত্রী নাজমা আক্তার দাবি করেন, গত ২৫ মে নাজিম উদ্দিন ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। নাজিম কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আটক নাজিম উদ্দিনই যশোর পুলিশের তালিকাভুক্ত জঙ্গি নাজিম উদ্দিন। কয়েক মাস আগে তিনি নিখোঁজ হন। পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশের তালিকায় নাজিম উদ্দিনকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা আছে।’ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নাজিমকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’

চট্টগ্রামে নাজিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার নূরে আলম ও ইফতিশাম আহমেদের পরিবারও দাবি করেছে, তাঁদের গত এপ্রিলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।