বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন সিনেট কমিটির উদ্বেগ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক-বিষয়ক কমিটিতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এর ফলে মার্কিন সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার পথ সুগম হলো।
গত বুধবার সিনেটের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেন্ডেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছয় দফা প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মার্কিন সিনেটে প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিনেটর রিচার্ড ডারবিন, মাইকেল এঞ্জি ও ক্রিস্টোফার মার্ফি। তাঁদের প্রস্তাবটি সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে আলোচনার জন্য সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবটি কমিটিতে গৃহীত হওয়ায় এখন সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশ নিয়ে শুনানি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে গৃহীত ছয় দফার প্রস্তাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ‘সরাসরি ও ফলপ্রসূ’ সংলাপে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এর ফলে বাংলাদেশ অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নজর দিতে পারছে না। এতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহিংসতার লাগাম টেনে ধরা ও সহিংসতার নিন্দা জানাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক মত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সিনেট কমিটির প্রস্তাবে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের নিরাপদে ও অবাধে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ জোরদারে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর প্রয়াসে সমর্থন জানাতে নেতাদের অনুরোধ করা হয়। প্রস্তাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।