বিষয়টি সবার জন্য 'লজ্জার'

কাজী রিয়াজুল হক
কাজী রিয়াজুল হক

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সামনে তির, ধনুক, লাঠিহাতে এসেছিলেন সাঁওতালরা। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই এভাবে এসেছেন বলে জানান তাঁরা। বিষয়টি সবার জন্য ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেন রিয়াজুল হক।

আজ সোমবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাঁওতালদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এরপর মাদারপুরে গির্জার সাঁওতালদের সঙ্গে এক সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশেই তির, ধনুক, লাঠি হাতে আসেন সাঁওতালরা।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশে সাঁওতালসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সবার সমান অধিকার আছে। এটা আমাদের সংবিধানের কথা। কারও ঘর উচ্ছেদ বা পুড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এসব কাজে যারা জড়িত তাঁদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

কাজী রিয়াজুল হক সাঁওতালদের কাছে তির, ধনুক নিয়ে আসার কারণ জানতে চান। জবাবে সাঁওতালরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা এভাবে এসেছেন। রিয়াজুল বিষয়টিকে নিজেদের জন্য লজ্জাজনক বলেন।

সরেজমিনে দেখার পর সাঁওতালদের উদ্দেশে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, আজকে সরেজমিনে ঘটনা দেখে অনেক অন্যায় চোখে পড়েছে। সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করে তাঁরা সরকারের কাছে তুলে ধরবেন।

সমাবেশের পর মাদারপুর গির্জার ভেতরে ১০ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ সাঁওতালের সঙ্গে কাজী রিয়াজুল হক কথা বলেন। রিয়াজুল হক তাঁদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) শরিফউদ্দিন, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য টিপু সুলতান, মেজবাহ কামাল, একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।

রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ এলাকার সাঁওতাল-অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন।