তাড়াইলে পরীক্ষার্থী খুন কচুয়ায় লাশ রেখে পলায়ন

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক শিশুকে কিরিচ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুরের কচুয়ায় গতকাল বুধবার হাসপাতালে এক তরুণীর লাশ ফেলে স্বজনেরা পালিয়ে গেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন তাড়াইল উপজেলার সাররং গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (১৩) এবং উপজেলার বিতারা গ্রামের আলমাছ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (২০)। রফিকুল সাররং ব্র্যাক স্কুল থেকে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকাল নয়টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সাররং গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া (১৯) রফিকুলকে ডেকে বাড়ির পাশের খারগিকান্দা হাওরের ক্ষীরাখেতে নিয়ে কিরিচ দিয়ে আঘাত করেন। ওই দিন তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোররাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। খবর পেয়ে গতকাল সকালে তাড়াইল থানার পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুলালের মা রুহেনা আক্তারকে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান বলেন, দুলালের মাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কচুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফাতেমা বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষ পান করেন। রাত নয়টার দিকে স্বজনেরা তাঁকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। গতকাল সকাল সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে লাশ ফেলে স্বজনেরা সেখান থেকে চলে যান। কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ মিয়া বলেন, ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।