অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করুন

গবেষণা বলছে, তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে গণমাধ্যমকর্মীরা মানসম্মত গভীর ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারেন। তবে রিপোর্টারদের অনুসন্ধানের জন্য সময় ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা দিতে হবে। পাশাপাশি রিপোর্টারদেরও দীর্ঘমেয়াদি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা থাকতে হবে।
রাজধানীর ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক মতবিনিময় সভায় ‘তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে কীভাবে বাংলাদেশি গণমাধ্যমগুলো স্বাধীন ও মানসম্মত রিপোর্টিং করতে পারে’ শিরোনামে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। ম্যানেজমেন্ট অব রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে এই সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. গোলাম রহমান বলেন, তথ্য না দেওয়ার সংস্কৃতি সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। গণমাধ্যমকর্মীদের অনেকেরই তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। একটি তথ্য পেতে ২০ বা ৩০ কার্যদিবস এটা অনেক দিন। তবে লেগে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারে মানসম্মত সাংবাদিকতা হয়। কিছু অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য পাওয়ার জন্য এই আইন দরকার।
গবেষণাটি বলছে, গণমাধ্যম–কর্মীদের জন্য তথ্য অধিকার আইন একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। তবে অনেকেই এর ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না। মাত্র ৯ ভাগ গণমাধ্যমকর্মী তথ্য কমিশনে অভিযোগ করার পর শুনানিতে উপস্থিত হন। কখনো গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেরাই তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করতে চান না। আবার কখনো মিডিয়া হাউসগুলো রিপোর্টারদের বড় অনুসন্ধানের জন্য এই আইন ব্যবহারে উৎসাহ দেয় না।
সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ফস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ ব্যবস্থাপক ও কর্মীরা বক্তব্য দেন।