রায়পুরায় ১৪৪ ধারার মধ্যে দুপক্ষে সংঘর্ষ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষায় ১৪৪ ধারা বহাল থাকা অবস্থায়ই গতকাল রোববার দুপুরে আবারও আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদকে অবরোধ করে রাখার গুজবকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর মধ্যপাড়ার সজল হোসেন (২২), বড়বাড়ির মো. ওবায়দুল্লাহ (১৮) ও একই গ্রামের সাইজ উদ্দিনকে (৩৫) গতকাল সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নীলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে গত ১০ নভেম্বর থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ১৮ নভেম্বর থেকে ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এরপরও প্রায় প্রতি রাতেই বিরোধী পক্ষের লোকজনদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে উভয় পক্ষ।

এই অবস্থায় সাংসদ গতকাল দুপুরে আবদুল হক সরকারের সমর্থক মো. সহি মিয়ার দড়িগাঁওয়ের বাড়ি যান। দুপুরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সাংসদকে সেখানে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা এ খবরে এগিয়ে এলে হরিপুর এলাকায় আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে হরিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন সাংসদ। বিকেলে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে যায়।

রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, সাংসদকে অবরোধের গুজবকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।