নোয়াখালী ও রাজবাড়ীতে গণপিটুনি ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ডাকাত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে আজ ভোররাতে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হন।

নোয়াখালীতে নিহত ব্যক্তির নাম সাহাব উদ্দিন (৩৫)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের চর উড়িয়া গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা রয়েছে। আর রাজবাড়ীতে নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল খালেক বিশ্বাস (৫০)। পুলিশের দাবি, তিনি আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়ি পাংশা সদর উপজেলার ঢেঁকিপাড়া গ্রামে।

নোয়াখালী এবং গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধির পাঠানো খবর...

নোয়াখালী: পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে কবিরহাট উপজেলার সোন্দলপুর ইউনিয়নের ছবিরপাইক গ্রামে সাহাব উদ্দিন তহসিলদারের বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী বাড়িতে পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দলটি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে ডাকাত ডাকাত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় লোকজন ধাওয়া করে সাহাব উদ্দিন নামের একজনকে ধরে পিটুনি দেয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে সাহাব উদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওসি আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাহাব উদ্দিন একজন পেশাদার ডাকাত।

রাজবাড়ী: সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মিয়ার ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের কালীবাড়ি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ফলকের সামনের সড়কে গাছ ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় সেখানে টহল পুলিশ পৌঁছালে ডাকাতেরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়ের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে মধ্যবয়সী একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলিভর্তি একটি দেশীয় পাইপগান, চারটি ধারালো চাকু, দুটি হাঁসুয়া, গাছ কাটার একটি করাত উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, খালেক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পাংশা, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন থানায় ছয়টি ডাকাতিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর আক্রমণ, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।