মিছিল থেকে লাশ গুমের অভিযোগ

যে হত্যাকে কেন্দ্র করে ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে লঙ্কাকাণ্ড হয়ে গেল, সেই ইকবাল মাহমুদের লাশ এখনো মেলেনি। পরিবার, দলের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র‌্যাবের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসে ইকবালের লাশ তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে। তবে র‌্যাব-পুলিশ ইকবালের লাশ গুমের দায় অস্বীকার করেছে।
ওই দিন র‌্যাবের গুলিতে নিহত হন আরও তিনজন। আর ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা র‌্যাবের এক সহযোগীকে পিটিয়ে হত্যা করেন। দীর্ঘ সময় পুলিশ লাইনসে র‌্যাবের দলকে অবরোধ করে রাখেন নেতা-কর্মীরা।
যুুবদলের নেতা ইকবালের বাবা, ভাই ও স্ত্রী-সন্তান বলছেন, তাঁরা কোনো মামলাও করবেন না, শুধু লাশটি ফেরত চান। তাঁরা বলছেন, ঘটনার পরে চকবাজার মসজিদের সামনে ইকবালের স্যান্ডেলসহ সব আলামত পড়ে থাকতে দেখেছেন অনেক মানুষ। শুধু লাশটি পাওয়া যায়নি।
র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর সকালে র‌্যাবের ওপর ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে স্থানীয় কিছু বাহিনীর লোকজন। সাবেক এমপির সমর্থনে এখানে কিছু বাহিনী কাজ করে। ওরাই মূলত র‌্যাবের দলের ওপরে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। ওই অবস্থায় কিছু গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে কিছু হতাহতও হয়। আমরা নির্দিষ্ট করে কাউকে মারি নাই। আমরা কাউকে গড়িতে উঠাইনি।’
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’ এর পরই লাইন কেটে দেন তিনি।
স্বজনেরা জানান, ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাঁরা লক্ষ্মীপুর থানায় গেলে থানা মামলা বা জিডি কিছুই নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এমনকি এ ঘটনার পরে বিএনপির কোনো নেতাও তাঁদের খোঁজ নেয়নি বলে জানিয়েছে পরিবার।