বিনা মূল্যের বই বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ

নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই নিতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার উত্তর কাজীরহাওলা মোহছেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, প্রতি সেট নতুন বই বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ করে টাকা আদায় করছেন মাদ্রাসা সুপার মো. আবদুল বারেক। অথচ এসব বই শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা।
উত্তর কাজীরহাওলা গ্রামের জুনায়েদ হোসেন জানান, তাঁর মেয়ে এ বছর ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ৬ জানুয়ারি তাঁর মেয়ে মাদ্রাসা থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই আনতে গেলে তাকে দেওয়া হয়নি। পরে বই বাবদ ২০০ টাকা এবং মাদ্রাসার বকেয়া পাওনা ৩০০ টাকা পরিশোধ করে তাঁর মেয়ের জন্য নতুন বই সংগ্রহ করতে হয়েছে। তিনি এ টাকা সুপার মো. আবদুল বারেকের কাছে দিয়েছেন। দক্ষিণ কাজীরহাওলা গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, তাঁর ছেলে ওই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি সুপারকে ২০০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য নতুন বই সংগ্রহ করেছেন। আইয়ুব আলী বলেন, ওই মাদ্রাসায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। নতুন বই নিতে তাদের ২০০ টাকা করে দিতে হয়েছে।
জানতে চাইলে, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আমির হোসেন মল্লিক বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপার নতুন বই বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন বলে অভিভাবকেরা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছি। এরপর আমরা সুপারকে বই বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলেছি। তিনি শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়েছেন কি না তা জানি না।’
মাদ্রাসা সুপার বলেন, বই বাবদ টাকা আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়। যাদের কাছে বকেয়া পাওনা ছিল তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সরকারি বই বিতরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। উত্তর কাজীরহাওলা মোহছেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বাবদ অর্থ আদায় করেছেন বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’