ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সংগঠনটির আরেক নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরের টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ের সামনে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই নেতার নাম আরিফুল ইসলাম (২১)। তিনি পৌরসভার সরিষাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি।
কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বলেন, আরিফুল রোববার রাত আটটার দিকে টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ের সামনের এক দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান ও তাঁর সমর্থকেরা আরিফুলের ওপর হঠাৎ করে হামলা করেন। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এল এম মাহফুজ আহম্মেদ এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে আহত আরিফুল ও মাহফুজকে পথচারীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মাহফুজ আহম্মেদ বলেন, কথা-কাটাকাটির জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের নেতা মেহেদি হাসান ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের দুজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। মেহেদিকে গ্রেপ্তার করা না হলে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ৫ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় কে আগে থাকবে, এ নিয়ে মেহেদি ও আরিফুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আরিফুলকে মারধর করা হতে পারে।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, অন্যায়ভাবে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকে মারধর করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কখনো ছাত্রলীগের নেতা হতে পারে না। মেহেদিকে গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গতকাল সোমবার মেহেদি হাসানের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।