নির্মাণে অনিয়ম, প্রতিবাদে পিচ তুলে ফেলল জনতা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার একটি সড়কের কাজে অনিয়ম করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে পিচ তুলে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। গত রোববার সকালে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালমারি জজ একাডেমি থেকে অডিটরিয়ামমুখী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১০৫ মিটার দীর্ঘ এ সড়কের ৫৭ মিটারের পিচঢালাই (কার্পেটিং) ও ৪৮ মিটারে ইট বিছানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪১২ টাকায় এ কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তুষার কনস্ট্রাকশন।

স্থানীয় বাসিন্দা আক্কাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে সড়কটির বোয়ালমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কোনো রকম পরিষ্কার না করেই সরাসরি পিচ ও পাথর দিয়ে ঢালাই শুরু করা হয়। রাতের মধ্যেই সড়কের ৫৭ মিটার অংশের কার্পেটিং হয়ে যায়। পরদিন সকালে দেখা যায়, পথচারীদের পায়ের সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছে।

মজিবর রহমান নামের আরেকজন বাসিন্দা বলেন, সড়কটি ১০ বছর কাঁচা ছিল। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নির্মাণকাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পিচ উঠে যেতে শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়। রোববার সকালে পৌরসভার শ্রমিকদের সহায়তায় কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সদানন্দ রায় বলেন, ‘কাজের স্থানে পৌরসভার প্রকৌশল শাখার কার্যসহকারী থাকার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন আমাদের না জানিয়ে রাতের আঁধারে কাজ করতে যায়। এ কারণে সঠিক তদারকি সম্ভব হয়নি।’

পৌর মেয়র মো. মোজাফর হোসেন মিয়া বলেন, ‘শনিবার রাতেই আমি অনিয়মের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই ঠিকাদার পালিয়ে যান। পরে রোববার সকালে আমার নির্দেশে পৌরসভার শ্রমিক ও স্থানীয় জনগণ ওই কার্পেটিং তুলে ফেলে।’ তিনি আরও বলেন, কাজে অনিয়মের এ ঘটনায় ওই ঠিকাদারের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তুষার কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে নির্মাণকাজের মিস্ত্রি ও শ্রমিকেরা এ অনিয়ম করেছেন। আমি জানতে পেরে তাঁদের বকাঝকা করেছি। আবার শিডিউল মোতাবেক শতভাগ কাজ নিশ্চিত করার জন্য শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছি।’