মেয়ের খাতা দেখতে চাওয়ায় মারধর

বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা মেয়ের খাতা দেখতে চাওয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর বাবাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ জে এন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর মা শাহানাজ বেগম গত শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ভাতিজার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইউএনও পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া আক্তারের সঙ্গে তার মা শাহানাজ বেগম গত শুক্রবার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল জানতে বিদ্যালয়ে যান। ফলাফলে দেখা যায়, রিয়া দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। বিষয়টি মানতে না পেরে পরীক্ষার খাতা দেখাতে প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম মোল্লার কাছে তাঁরা অনুরোধ করেন।
এতে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে খাতা দেখার জন্য এক হাজার ২০০ টাকা ফি নিয়ে পরদিন আসতে বলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীর বাবা রাশেদুল ইসলাম মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে গোয়ালন্দ বাজার রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে খাতা দেখতে ফি লাগবে কেন, তা জানতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম মোল্লা রাশেদুল ইসলামের গালে দুটি থাপড় মারেন। এ খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা রুঞ্জু মোল্লা এসে রাশেদুলকে বেদম মারধর করলে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে ফরিদপুরে স্থানান্তর করা হয়।
প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম মোল্লা বলেন, ‘তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলে উল্টো তাঁরা নানা অপবাদ দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে আমার ভাতিজা হইচই শুনে ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে শুধু দুটি থাপড় দেয়। এ জন্য আমার ভাতিজাকেও শাসন করেছি। এখন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’