মন্ত্রী-সাংসদসহ পাঁচজনকে নতুন টিভি চ্যানেল

আরও নতুন পাঁচটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চ্যানেল প্রাপকদের তালিকায় একজন মন্ত্রী, একজন সাংসদসহ সরকারঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা আছেন। নতুন এই অনুমতির পর দেশে অনুমতিপ্রাপ্ত চ্যানেলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩। এর মধ্যে ২৬টি চালু আছে। তবে আরও দু-তিনটি চ্যানেল অনুমোদন পেতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

গত কয়েক দিনের মধ্যে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদন পেয়েছে নোয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ মো. মামুনুর রশীদ কিরণের গ্লোবাল টিভি, প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হকের আমার টিভি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের খেলা টিভি। বাকি দুটি চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এই দুটির মালিকই দুজন সাংবাদিক।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রথম আলোর কাছে এই চ্যানেলগুলোর অনুমোদন পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার এগুলোর অনুমোদন দেওয়া যৌক্তিক মনে করেছে।’

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোট ৩৩টি চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হলো। এর আগে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১০টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়। সবক্ষেত্রেই দলীয় বিবেচনা গুরুত্ব পেয়েছে। আবার সরকারি দলের পরিচয় ও প্রভাবে টিভি চ্যানেল নিয়ে শেয়ার কেনাবেচারও বিস্তর অভিযোগ আছে।

নতুন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে চাইলে একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল বাবু প্রথম আলোকে বলেন, এমনিতেই যে ২৬টি চ্যানেল চালু আছে, সেগুলোর মধ্যে ৫টি লাভে আছে, বাকিগুলো জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এর মধ্যে আরও চ্যানেল দেওয়া হলে নিজে মরা ও অন্যকে মারার মতো অবস্থা তৈরি হবে। তা ছাড়া চ্যানেলে এখন কেউ আর বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চান না।

আরও নতুন টিভি চ্যানেল দেওয়া প্রসঙ্গে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বিজ্ঞাপন ও দর্শকের বাজার সীমিত। এটা শিগগিরই বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া আছে বাইরের আগ্রাসন। এমতাবস্থায় দেশি চ্যানেলগুলো দুর্বল হবে, হুমকি ও চাপের মুখে থাকবে।