দুই জেলায় ১৪০টি কম্বল বিতরণ
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল রোববার রংপুরের তারাগঞ্জ ও পটুয়াখালী সদরে ১৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তারাগঞ্জের ১০০ শীতার্ত ব্যক্তিকে এক্সিম ব্যাংকের এবং পটুয়াখালীর ৪০ শীতার্ত ব্যক্তিকে ঢাকা ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় কম্বলগুলো দেওয়া হয়। দুটি স্থানেই কম্বল বিতরণে সহায়তা করেন বন্ধুসভার সদস্যরা।
তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া, জুম্মপাড়া, ফকিরপাড়া, ছুট মেনানগর, ইকরচালী এতিমখানা ও মাটিয়ালপাড়া গ্রামে কম্বলগুলো দেওয়া হয় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ ১০০ জন শীতার্ত মানুষকে। ছুট মেনানগর গ্রামের জিয়াউর রহমানের উঠানে শীতার্ত লোকদের হাতে কম্বল বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, তারাগঞ্জ বিএম কলেজের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার, রংপুর সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিকর ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মিহাদ সরকার, সাজেকুর রহমান, ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনামিকা আক্তার ও সেতু আক্তার।
কম্বল পেয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মাটিয়ালপাড়া গ্রামের মাবিয়া বেগম বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে মোর ঘরোত আগুন নাগি সউগ পুড়ি ছাই হয়া গেইছে। মুই নিঃস্ব। শীতে কষ্টে ঘুমাইতে পাড়তাম না। এই শীতোত তোমার কম্বল কোনা কামোত নাগবে।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইটবাড়ীয়া গ্রামে ৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নির্যাতিত পাঁচ নারী, শহীদ পরিবারের সদস্য ও শীতার্ত লোকদের মধ্যে। সকালে কম্বল বিতরণের সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পটুয়াখালী জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার নির্মল কুমার রক্ষিত, ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আয়ুব আলী মৃধা এবং প্রথম আলো পটুয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সুস্মিতা মণ্ডল, রুবিনা ইসলাম, জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।