কুনিও হোশি হত্যা মামলায় পাঁচ গ্রামবাসীর সাক্ষ্যগ্রহণ

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় আজ সোমবার পাঁচ গ্রামবাসীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, খুনের ঘটনাস্থল কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারি গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, আনোয়ারা বেগম, মোস্তফা হোসেন, শহিদার রহমান ও স্বাধীন মিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি মামলার বাদী রেজাউল করিম ও সারাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরশু বুধবার দুই দিনে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এই মামলার সাক্ষী ৫৭ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালত সূত্র জানায়, আজ সকালে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (২১), একই এলাকার জেএমবির সদস্য ইছাহাক আলী (২৫), বগুড়ার গাবতলী এলাকার জেএমবির সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (২৩), পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের জেএমবির সদস্য আবু সাঈদ (২৮) ও গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন (৩২)। পলাতক এক আসামি হলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪)।

এই মামলার আরেক আসামি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গজপুরি এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান (২৮) ইতিপূর্বে রাজশাহীতে এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চর বিদ্যানন্দ এলাকার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি (২১) ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হন।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারি গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাউনিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার বর্তমান ওসি আবদুল কাদের জিলানী গত বছরের ৩ জুলাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।