মেধাক্রম অনুসারে ফল প্রকাশের প্রশ্নে রুল

মেধাক্রম ও কোটা উল্লেখ করে, পরীক্ষার নির্দেশনা ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালার বিধান-৫ অনুসারে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এ রুল দেন। সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসনসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

৩৫তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকায় থাকা পাঁচ প্রার্থী ওই রিটটি করেন। আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।   

আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় মেধাক্রম ও প্রাধিকার কোটা একত্র করে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নন-ক্যাডার পদের ক্ষেত্রেও মেধার ভিত্তিতে নয় উল্লেখ করে ফল প্রকাশ করা হয়। অথচ ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার দেওয়া বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষার গাইডলাইন ও বিধিমালার ৫ বিধানেও মেধাক্রমের কথা আছে। এটি অনুসরণ না করে ফল প্রকাশ করা হয়—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।     

এর আগের প্রতিটি বিসিএসে মেধা ও কোটা আলাদা করা হলেও ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএসে মেধা ও কোটা আলাদা না করে একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হয়। ৩৫ বিসিএসে ২ হাজার ১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। আর পদস্বল্পতার কারণে সুপারিশ করা যায়নি, এমন ৩ হাজার ৩৫৯ জনকে নন-ক্যাডারে রাখা হয়েছে।

নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার ৫ ধারায় বলা হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে তালিকা করতে হবে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, মেধাতালিকার বদলে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সিরিয়াল অনুযায়ী ফল দেওয়া হয়েছে। নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণদের অভিযোগ, মেধাক্রম অনুযায়ী ফল না দিলে নন-ক্যাডার নিয়োগে অস্বচ্ছতা তৈরি হয়।