নিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিতু মণ্ডলকে (১৪) বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী মিলন মণ্ডল নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল। মিলন মণ্ডলকে অভিযুক্ত করে নিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গত বৃহস্পতিবার আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেছে ডাসার থানার পুলিশ।

আগামীকাল রোববার মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রউপস্থাপন করা হবে। নিতু হত্যার দ্রুত বিচার চায় তার পরিবার, বিদ্যালয়ের সহপাঠী, শিক্ষক ও গ্রামবাসী।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের নির্মল মণ্ডলের মেয়ে নিতু। ছোট ভাই দীপ্ত মণ্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দীপ্তর গৃহশিক্ষক ছিলেন প্রতিবেশী মিলন মণ্ডল। মিলন নিতুকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট নিতুকে বাড়িতে একা পেয়ে মিলন মারধর করেন। বিষয়টি মিলনের পরিবারকে জানায় নির্মল মণ্ডল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিতু স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। মিলন তার পিছু নেন। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নবগ্রাম উত্তরপাড়া ঠাকুরবাড়ি নামক স্থানে গ্রামের একটি রাস্তায় তিনি নিতুকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পাশের একটি নালায় ফেলে রাখেন। এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী মিলনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। মিলন ওই গ্রামের মৃত বীরেন মণ্ডলের ছেলে।

ঘটনার দিন রাতে নিতুর বাবা বাদী হয়ে কালকিনির ডাসার থানায় মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বায়েজিদ মৃধা গত বৃহস্পতিবারমাদারীপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগামীকালরোববার বিচারকের কাছে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে।

নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, ‘মেয়েটি অনেক মেধাবী ছিল। পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার খুব স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ঘাতক মিলন তার সে স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি। এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার হোক।’

নিতুর মা নিপা মণ্ডল বলেন, ‘মেয়েটির জন্য অনবরত চোখের জল ফেলছি। মিলনের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা স্বস্তি পাচ্ছি না। দ্রুত ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’