পালিয়ে গেলেন আসামি, তিন পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক আসামি পালিয়ে গেছেন। মারামারির একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন নামের ওই যুবক গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতালের শৌচাগারের ভাঙা জানালা দিয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বরগুনা থানার এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

থানা-পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার বড় লবণগোলা গ্রামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী সানু মিয়া শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে রিকশায় করে বরগুনা শহরে যাচ্ছিলেন। পথে দক্ষিণ বরগুনায় একই এলাকার আল আমিনসহ তিন-চারজন যুবক সানুকে বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় সানুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সানুর স্ত্রী অরুণা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় একটি মামলা করেন।

এখবর জানতে পেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আল আমিন দ্রুত ওই রাতেই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে গিয়ে ভর্তি হন এবং তিনি আহত হয়েছেন বলে জানান। কিন্তু ওই মামলায় পুলিশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার গভীর রাতে আল আমিন শৌচাগারে যান এবং শৌচাগারের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল আমিনের পাশের শয্যায় চিকিৎসাধীন এক রোগী বলেন, আল আমিনের হাতে কোনো হ্যান্ডকাপ ছিল না এবং তিনি বারবার শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। এ রকম যাওয়া-আসার কোনো এক সময় সুযোগ বুঝে পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে হাসপাতালের শৌচাগারের ভাঙা জানালা দিয়ে পালিয়ে যান আল আমিন।

এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই হাসান, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।