আনন্দ-উল্লাসে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শতবর্ষ উদ্যাপন

হবিগঞ্জের যুগল-কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা শহরে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা বের করেন l প্রথম আলো
হবিগঞ্জের যুগল-কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা শহরে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা বের করেন l প্রথম আলো

আনন্দ-উল্লাসে পুরো দিনটি কাটালেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার যুগল-কিশোর উচ্চবিদ্যালয়ের (জে কে হাইস্কুল) বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। শতবছরপূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে পুরো বিদ্যালয়টি সাজানো হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ মো. আবু জাহির, সাংসদ আবদুল মুনিম চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামসুর রহমান ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, দেশের মানুষকে যদি শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় তাহলে রাষ্ট্রকে আর বিশেষ কিছু করতে হয় না। শুধু একটি কাজ করলেই মানুষ এগিয়ে যাবে এবং তিনি সে জন্য যেটা প্রস্তাব করেন তা হলো, প্রত্যেক মানুষের জন্য শিক্ষা উচ্চতর স্তর পর্যন্ত একেবারে কম খরচে যেন হতে পারে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছুটা করেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত যেন সকলে পেতে পারে, আমরা তার একটা ব্যবস্থা করেছি। বিভিন্ন উপবৃত্তি দিচ্ছি। উপবৃত্তি থেকে যারা বঞ্চিত ছিল, তাদেরও আমরা বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করছি। স্কুলে মেয়েদের মতো ছেলেদেরও বিনা বেতনে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা হচ্ছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ১০ বছরের মধ্যে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।

প্রথম পর্বের আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে ১৪ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে সম্মাননা ক্রেস্ট দেন।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা সাড়ে তিনটায়। এতে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকদের পরিচিতি ও স্মৃতিচারণা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটির সমন্বয়কারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক সফিকুর রহমান। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রয়াত হাবিবুর রহমান, সাবেক সাংসদ প্রয়াত আবদুল আজিজ চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ প্রমুখ।