চট্টগ্রাম'প্রার্থনা করব যেন দেশে শান্তি আসে'

সহিংস এই সময়ে কেমন হবে ক্রিসমাস? জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা গির্জার কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত যাজক ফাদার বেনোয়া বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। এবারও প্রার্থনা করব, যেন দেশে শান্তি আসে।’
সড়কের দুই পাশের বাড়িগুলোর ছাদে শোভা পাচ্ছে লাল তারা। ছোট ছোট বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে আঙিনার দেয়াল, গাছপালা। চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা গির্জা সড়ক ধরে এগোতেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ল। আগামীকাল বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত এই পাড়ায় এখন উৎসবের আমেজ।
প্রতিবছরের মতো ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত পাথরঘাটার পবিত্র জপমালার রানি গির্জায় অনুষ্ঠিত হবে বড়দিনের মিশা (মাস)। সে জন্য নগরের সবচেয়ে বড় এই গির্জা সাজানো হয়েছে জমকালো সাজে।
গতকাল সোমবার গির্জার ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা গেল, মিশা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গির্জার প্রার্থনাকক্ষে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, বেথলেহেমের গোয়ালঘর। তৈরি হয়েছে বড় মঞ্চ। চট্টগ্রামের বিশপ মোজেস এম কস্টা ও ফাদার লিওনার্ড রিবোরে মিশা পরিচালনা করবেন বলে জানাল গির্জা কর্তৃপক্ষ।
পাথরঘাটা গির্জার পাশেই সেন্ট স্কলাস্টিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আনা স্যাম্পসনের বাড়ি। বড়দিন উপলক্ষে তাঁর বাড়িতে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
‘এবারের বড়দিনে তেমন আনন্দের উপলব্ধি হচ্ছে না। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রবাসী আত্মীয়স্বজন এ বছর আসতে পারেননি। তা ছাড়া দেশে যখন সহিংসতা চলছে, তখন নির্ভার মনে উৎসব করি কী করে?’ বড়দিনের প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে এ কথা বলেন আনা স্যাম্পসন।