রাজশাহীতে উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ‘৩৩ ক্রেডিট’ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ। গতকাল শনিবার বেলা দুইটা থেকে আজ রোববার বেলা একটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ২৩ ঘণ্টা ধরে এই অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

অবরুদ্ধ অবস্থায় আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসেছেন উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকেরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সভা চলছিল।

শিক্ষার্থীরা গতকাল থেকে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। তাঁরা প্রশাসন ভবনের প্রবেশপথে নিজেদের রক্ত দিয়ে ৩৩ ক্রেডিট বাতিলের জন্য স্লোগান লিখেছেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের অন্য সদস্যরা উপাচার্যের দপ্তরে যান। এরপর তাঁরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বসেছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান করবেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের আন্দোলন দমাতে একটি হলের শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন। গতকাল দুপুর থেকে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান করছেন। তাঁদের দাবির পক্ষে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাতভর অবরুদ্ধ ছিলাম, এখনো আছি। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দাবির বিষয়ে আলোচনা হবে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বারবার আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা না শুনে আমার কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে দুই সেমিস্টারে বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। অন্যথায় তাঁকে পুনরায় সেই বর্ষেই থাকতে হবে। এর আগে নিয়ম ছিল কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা অনুপস্থিতির কারণে ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন না করলেও পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারত। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে তাঁকে পরীক্ষা দিয়ে ওই ক্রেডিট অর্জন করতে হতো। তবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়।

এই ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। টানা চার দিন আন্দোলনের পর ৩১ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে টিনশেড হলে অবস্থানরত আন্দোলনকারী ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: