মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২১ জন খালাস

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আবদুল লতিফ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ২৬ জন উচ্চ আদালতে খালাস পেয়েছেন। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়েছিল।

দণ্ডিত ব্যক্তিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গতকাল সোমবার ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন।

আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাবিয়া ভূইয়া, আইনজীবী মো. ইব্রাহিম মোল্লা ও মন্টু ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহানারা ভূইয়া ও ফরিদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫ জনসহ ১১ জনের আইনজীবী ইব্রাহীম মোল্লা বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সুরতহাল প্রতিবেদন, সাক্ষীদের বক্তব্যে অসংগতি ও গরমিল থাকায় আদালতের কাছে আসামিদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।

আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে ওমর আলী মারা গেছেন। অপর ৪ জন হলেন মো. বারেক, মো. সোহেল ওরফে শফি, আফাজউদ্দিন ও শওকত আলী।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, ১৯৯৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আড়াইহাজারের মর্দাসাদি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লতিফকে (৪৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন নিহত ব্যক্তির ভাই আবদুল হান্নান ২৪ জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের আদালত এই মামলার রায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।