ভুয়া সনদে শিক্ষকতা

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কারবালা ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভুয়া নিবন্ধন সনদ দাখিল করে দুই সহকারী শিক্ষক বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সরকারি তহবিল থেকে নিয়মিত বেতনও তুলছেন। ইতিমধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার এবতেদায়ি শাখায় সহকারী মৌলভি পদে রুমিয়া খাতুন কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি ভুয়া নিবন্ধন সনদ দাখিল করে একই মাদ্রাসার দাখিল শাখায় সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন ছয় বছর আগে। রুমিয়া খাতুন তাঁর নিবন্ধন সনদ (ইনডেক্স নম্বর ৩৯২৩৫৬, নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর ২১০২০০৪১, রেজি. নম্বর- ৬১০১৭১৬/২০০৬) সঠিক রয়েছে বলে এই প্রতিনিধির কাছে দাবি করেছেন। তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে রুমিয়ার নিবন্ধন সনদ ভুয়া বলে সত্যতা পেয়েছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসার সুপার, মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক দীনা পারভীন জানান, রুমিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ছয় মাস আগে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আবারও চিঠি পাঠানো হবে।
এদিকে একই মাদ্রাসায় রেজ্জাকুল হায়দার নামে আরও একজনের বিরুদ্ধে ভুয়া নিবন্ধন সনদ ও শরীরচর্চা শিক্ষা সনদ (বিপিএড) দাখিল করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। বছর দুই আগে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। রেজ্জাকুল হায়দারের ইনডেক্স নম্বর ২০৯৫৯৫৬।
রেজ্জাকুল বলেন, ‘অভিযোগ যখন এসেছে, তখন তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলব না।’
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পাঠানো কোনো চিঠি আমি হাতে পাইনি। হয়তো মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জানতে পারেন।’ তবে ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’