নির্বাচনের আগে কোনো আলোচনা নয়: নাসিম

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। শত প্রতিকূল অবস্থায় আমরা আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এবারও নির্বাচন করছি। কেউই এটা প্রতিহত করতে পারবে না। তাই এখন আর নির্বাচন নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। নির্বাচনের আগে কোনো আলোচনা নয়। নির্বাচনের পর পরবর্তী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবিধান অনুযায়ী আলোচনা হতে পারে।’

বিরোধী দলের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, বিরোধী দল নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। নির্বাচনে বিশ্বাস করলে তারা নির্বাচনে অংশ নিত। কিন্তু তারা জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচনে আসবে না বিধায় নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে।

বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী জাতীয় পতাকা নিয়ে মানুষকে ঢাকা আসতে বলেছেন। তিনি তো স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের হাতে দেশের পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। তাই তাঁর মুখে জাতীয় পতাকার কথা মানায় না। আমি এ কারণে খুবই বিস্মিত ও মর্মাহত। এর চেয়ে ভণ্ডামো ও প্রতারণা আর হতে পারে না।’

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘জনতার প্রত্যাশা’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি এম এ করিম।

প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকের স্মরণ করে নাসিম বলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে গেছেন। বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার রায় কার্যকর দেখে যেতে পারলে তিনি খুশি হতেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা সারা দেশের পর এবার ঢাকায় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যতই পরিকল্পনা করুন, কোনো লাভ নেই। সাধারণ মানুষ আপনার আহ্বানে সাড়া দেবে না। আপনার সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে।’

অনুষ্ঠানে আবদুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণা করে আরও বক্তব্য দেন প্রবীণ আইনজীবী আমির-উল-ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আবদুর রাজ্জাকের ছেলে ফাহিম রাজ্জাক, আবদুল মান্নান চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।