মুন্সিগঞ্জে বিকেলে গ্রেপ্তার, রাতে নিহত 'বন্দুকযুদ্ধে'

মুন্সিগঞ্জে বিকেলে গ্রেপ্তারের পর রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শাহজালাল মিজি (২৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ভোররাতে শহরের বৈখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজালাল ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ও ২২ মামলার পলাতক আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

একই দিন সুন্দরবনে এক বনদস্যু বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শেষে তাঁদের দুজন আত্মসমর্পণ করেছেন এবং এ সময় কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, গত রোববার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে শাহজালাল মিজিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভার বৈখর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানকার একটি স্থানে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা শাহজালালকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি বাধে। গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থল থেকে শাহজালালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধে আহত তিন পুলিশ সদস্য এসআই হেমায়েত মোল্লা, কনস্টেবল মোহাম্মদ সোহেব মিয়া ও সোহরাব হোসেনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে পুলিশ দুটি পিস্তল, দুটি চায়নিজ কুড়ালসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এদিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শাহজালাল মিজির লাশ নিতে গিয়ে আহাজারি করছিলেন তাঁর মা ও আরও কয়েকজন স্বজন। তবে বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে তাঁরা কোনো কথা বলেননি।

সুন্দরবনে র‍্যাব-বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধ

র‍্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া–সংলগ্ন পশুরতলা খালে একটি বনদস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালান র‍্যাব সদস্যরা। এ সময় বনদস্যুরা গুলি ছুড়লে র‍্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। আধা ঘণ্টা পর নূর বাহিনীর প্রধান হোসেন ও দ্বিতীয় প্রধান আব্বাস আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি বন্দুক ও একটি কাটারাইফেল এবং ৫০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, র‍্যাব-৮-এর উপসহকারী পরিচালক আমজাদ হোসেন র‍্যাবের ওপর হামলা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন। মামলায় নূর হোসেন ও আব্বাস আলী গাজী এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নূর হোসেনের (৩৫) বাড়ি যশোরে ও আব্বাস আলীর (৪০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে।