বিদ্যালয়ের মাঠে বিদ্যুতের খুঁটির স্তূপ, ভোগান্তি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে অর্ধশত কংক্রিটের বিদ্যুতের খুঁটি। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না।

ওই বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের মাঠে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেলে রাখা হয়েছে কংক্রিটের তৈরি ৪৮টি বিদ্যুতের ভারী খুঁটি। হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত হওয়ায় এবং মাঠের সীমানা দেয়াল না থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি না নিয়ে এই খুঁটিগুলো ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের আড়াই শ শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকেরা চলাফেরা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির সাদিয়া জান্নাত ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান ইসলাম বলে, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাঠে এই খুঁটিগুলো থাকায় খেলাধুলা করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অনেকেই হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হচ্ছে। স্যার-ম্যাডামদের বারবার বলার পরও এগুলো সরানো হচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ শামছুন্নাহার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে সীমানা দেয়াল না থাকায় ছুটির পর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কে বা কারা খুঁটি রেখে গেছে, তা আমরা বলতে পারছি না। এ বিষয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে জানানোর পরও তারা খুঁটিগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়নি। খুঁটির কারণে ছোট ছেলেমেয়েরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও খেলাধুলা করতে পারছে না। এমনকি অনেক সময় দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে দুর্ঘটনারও শিকার হচ্ছে। এ জন্য বিদ্যালয় চলার সময় তাদের মাঠে যেতে দেওয়া হয় না।’

এ বিষয়ে হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি এখানে সবে যোগদান করেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কে দায়িত্ব পেয়েছে, তা-ও আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিটেইনার ইঞ্জিনিয়ার (আরই) মো. আতাউর রহমান শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতের এ খুঁটিগুলো মাঠে রেখেছে। তাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হবে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ট্রান্স অ্যান্ড ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. জুলহাস উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খবর নিয়ে ফোরম্যানের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’