ট্রলির নিচে ৭০ লাখ টাকার সোনা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালামাল বহনকারী ‘ট্রলি ট্রে’র নিচের অংশে অভিনব কায়দায় পৌনে দুই কেজি সোনা নিয়ে যাওয়ার সময় এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদ মান্নান মিয়া নামের ওই যাত্রীকে আটক করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১ দশমিক ৭৫ কেজি সোনা, যার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ মান্নান মিয়া দুবাই থেকে ওমান হয়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ নম্বর ফ্লাইটে আজ বেলা ১১টায় ঢাকায় অবতরণ করেন। শুল্ক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ এড়াতে মালামাল নেওয়ার ‘ট্রলি ট্রে’র নিচে চুম্বক বসিয়ে পাঁচটি স্বর্ণের প্যাকেট আটকে রাখেন। প্যাকেটগুলো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালানোর সময় ট্রলিতে লুকানো প্যাকেটগুলোর সন্ধান পায় শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সোনাসহ আটক করা হয়।

আটক মান্নান মিয়া পেশায় একজন ড্রাইভার। তিনি দুবাইতে গাড়ি চালান বলে জানান। বাংলাদেশে তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ১ নম্বর ব্যাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মান্নান মিয়াকে কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তাঁর মালামাল তল্লাশির একপর্যায়ে লাগেজ বহনকারী ‘ট্রলি ট্রে’র নিচে চুম্বকের সাহায্যে ট্রেতে লুকানো পাঁচটি আলাদা টুকরার মধ্যে সোনার সন্ধান পায় শুল্ক গোয়েন্দা। পাঁচটি প্যাকেটে ১৫টি সোনার বার পাওয়া যায়।

আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মইনুল খান।