রায়ে সন্তুষ্ট মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী।

আজ বুধবার মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর এ রায় ঘোষণা করার পর প্রথম আলোর কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মঞ্জুলী কাজী। দেশে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে স্বজন হারানো ব্যক্তিরাও বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মঞ্জুলী বলেন, ‍‍‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে রায় দিয়েছেন। আমি বলব, এটা একটা যুগান্তকারী রায়। এখনো উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। আপিল করে দোষী ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসতে পারেন। তবে রায় বাস্তবায়িত হলে অন্যরাও সচেতন হবেন। গাড়িচালকেরাও বুঝবেন তাঁদের কারণে মানুষের মৃত্যু হলে কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে।’
সড়ক দুর্ঘটনায় আরও যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদেরও আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর থেকে যাঁরা সঙ্গে থেকেছেন, সেসব সাংবাদিক, আইনজীবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মঞ্জুলী।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট শিবালয় উপজেলায় নতুন চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের নির্ধারিত স্থান দেখে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘিওরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই দিন ঘিওর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে বাসচালক জামির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।