আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫, ৮টি ঘর ভাঙচুর

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয়জনের আটটি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষ এবং গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন এবং স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ-সমর্থক মো. মশিউর রহমান খান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিকদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার রাত নয়টার দিকে উপজেলা সদরে সর্বজনীন পূজা মন্দিরের পাশে রঞ্জনের চায়ের দোকানে মোহাম্মদ আলী শিকদারের কয়েকজন সমর্থক চা পান করছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মশিউর রহমান খানের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ হামলায় রেজাউল শিকদার, ইনামুল শিকদার, তুহিন খানসহ সাবেক চেয়ারম্যানের পাঁচ সমর্থক আহত হন।

এ হামলার জের ধরে গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের খায়েরহাট এলাকার জলতারপাড়া মহল্লায় হামলা চালিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ছয় সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক শরাফত হোসেনের বাড়িসহ ছয়টি পরিবারের আটটি ঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুট করেন।

সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা বুধবার রাতে একটি চায়ের দোকানে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল ফাটায়। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়। এর মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার কোনো সমর্থক প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা করেনি। প্রতিপক্ষ নিজেরাই নিজেদের ঘর ভেঙে আমাদের ওপর দোষারোপ করছে।’

চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান বলেন, পান্নু শিকদার নামে এক আওয়ামী লীগের নেতাকে অপমান করায় রঞ্জনের চায়ের দোকানে বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘গতকাল বেলা ১১টার দিকে আমার ছয় সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুট করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি এলাকার শান্তি রক্ষায় কাজ করছি। কিন্তু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলছেন।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী নুর হোসেন বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গুলি ছোড়া বা ককটেল ফাটানোর কথা শুনেছি, তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।’