যুবকের বিরুদ্ধে ভায়রাকে হত্যার অভিযোগ

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার উদয়পুর কানাবিল এলাকার আজ শনিবার সকালে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম আলম প্রামাণিক (৩৫)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত আলমের ভায়রা করিম খাঁকে (২৩) আটক করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি আখখেত থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন আলম প্রামাণিক। পরিবারের লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ ভোররাত চারটার দিকে করিম খাঁকে আটক করে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাংশা উপজেলার উদয়পুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে শ্বশুর আমজাদ খাঁর বাড়ি থেকে বের হন আলম প্রামাণিক। তিনি তাঁর বাড়ি পাংশার হাবাসপুর ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। করিম খাঁর দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই দিন উদয়পুর কানাবিল এলাকায় পৌঁছালে ওত পেতে থাকা করিম খাঁ ও তাঁর লোকজন আলমের পথ রোধ করেন। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আলমকে সবাই মিলে কিল-ঘুষি মেরে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে উদয়পুর উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে কানাবিল এলাকার একটি আখখেতের মাঝখানে গর্ত করে পুঁতে রাখেন।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান (সদর সার্কেল) আজ শনিবার প্রথম আলোকে জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন করিম খাঁ। তাঁর সন্দেহ ছিল, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বড় ভায়রা আলম প্রামাণিকের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে।

আজাদ রহমান জানান, কানাবিল এলাকায় অত্যন্ত সুকৌশলে, নিখুঁতভাবে তিন থেকে চার ফুট বর্গাকৃতির একটি গর্তে হাঁটু ভেঙে আলমের লাশ পুতে রাখা হয়েছিল। কারও বোঝার উপায় ছিল না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।