সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা বিএনপি প্রার্থীর

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন এমন অভিযোগ তোলে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ কারণে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে সহায়তা করার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়কে অবস্থিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি ভোটের দিন সেনাবাহিনীকে টহল হিসেবে রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী মো. রেজাউল কাইয়ুম। কাল সোমবার নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. রেজাউল কাইয়ুম দাবি করেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিরবাজার ইউনিয়নের ভল্লবপুর গ্রামে বিএনপির উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকান্দার আলীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ব্যক্তি অতর্কিত গুলি চালান। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হন। এর বাইরে কালিরবাজার ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি দেওয়া হয়। আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হানের ধর্মপুরের বাড়িতে গিয়ে নৌকা প্রতীকের লোকজন মিটার বক্স ও দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার সকালে ধর্মপুর এলাকার যুবদল কর্মী তসলিমুর রহমানের স্টুডিওতে ঢুকে তাঁকে মারধর করা হয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের দিন ভোটারদের নিরাপত্তা প্রদান, ব্যালট পেপার ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় রাখা, প্রতি ইউনিয়নে একটি পর্যবেক্ষণ টিম রাখা, বহিরাগতদের ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ ঠেকানো ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
বিএনপির প্রার্থীর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে গণসংযোগ ও প্রচারণায় পিছিয়ে থেকে বিএনপির প্রার্থী অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন। উল্টো শাসনগাছা এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করা হয়।