অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ভাউলাগঞ্জ বাজার থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ভাউলাগঞ্জ বাজার থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ভাউলাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল শনিবার মানববন্ধন হয়েছে। এদিকে ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ওই উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজারে ভাউলাগঞ্জ-দেবীগঞ্জ সড়কে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এবং বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁরা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

এ সময় চিলাহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মণ্ডল লিখিত বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের কিছুদিন আগে কলেজের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানায়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলবাহার আলী তাদের বলেন, শহীদ মিনারের জন্য বরাদ্দ করা চালের ও অনুদানের টাকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাসানাত জামানের কাছে গচ্ছিত আছে। এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাসানাত জামানের ভাই রন্টি, তাঁর সমর্থক মানিক, রতন, বাপ্পী, সোহেল ও ইউনুছের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে তাঁকে কিলঘুষি মারেন। পরে জামার কলার ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দোতলা থেকে নামিয়ে আনেন। সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। এ সময় কলেজের এক শিক্ষক দিলবাহারকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন। কলেজে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারীরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাসিয়ে যান।

ওই মানববন্ধনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দিলবাহারের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, তাঁরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ছেলের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলবাহার বলেন, এ ঘটনায় তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। গত শুক্রবার তা মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান বলেন, একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে হাসানাত জামান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ তাঁর ও এলাকার সাংসদের নামে নানা বাজে কথা বলেন। এর কারণ জানতে গিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। তবে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।