কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে জখম

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার নারায়ণপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত ছাত্রের নাম মো. সানোয়ার হোসেন (১৮)। তাঁর বাড়ি উপজেলার বাড়ৈগাঁও গ্রামে। বাবার নাম মো. আবু সায়েম। নারায়ণপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তাঁরা। সানোয়ার উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন।

হামলাকারীরা হলো মো. ফয়সাল (১৭), মো. ইমন (১৫), মো. সজীব (১৭), মো. নাসির (১৯), মো. মামুন (১৭) ও মো. রাফসান (১৭)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি নারায়ণপুর এলাকায়।

লিখিত অভিযোগ, প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই বখাটেরা স্থানীয় নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। সেখানে উপস্থিত সানোয়ার এর প্রতিবাদ করেন। এতে তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয় ওই বখাটেরা। সে সময় তারা সানোয়ারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় নারায়ণপুর বাজার এলাকায় এক কলেজশিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন সানোয়ার। কলেজ রোডের লোকমান শেখের দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র সানোয়ারকে ধাওয়া করে বখাটেরা। সানোয়ার ওই দোকানের ভেতর ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় বখাটেরা সেখানে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে তাঁর মাথা, দুই হাত, ঘাড় ও পিঠ জখম হয়। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন সানোয়ারকে রাত নয়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রের মাথা, দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে।

সানোয়ারের বাবা মো. আবু সায়েম বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁর ছেলের ওপর এ হামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল রাত ১০টায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলার প্রস্তুতিও চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে মো. ফয়সাল, মো. ইমন, মো. সজীবসহ অন্য হামলাকারীদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর থেকে তারা গা–ঢাকা দিয়েছে।