ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দুদিনের ভারী বর্ষণে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার তরমুজ, মুগ-মসুর-খেসারি ডাল, মরিচ-বাদামসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ, ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে মুগডাল ও ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকেরা ভালো ফলনের আশা করলেও গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের ভারী বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে খেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকেরা ফসল রক্ষায় খেতে সেচ পাম্প লাগিয়ে পানিনিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাতেও কাজে আসছে না।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, পানিনিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোনাখালী গ্রামের হাসান হাওলাদার জানান, তাঁর তিন একর জমির করলা, দুই একর জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। ওই গ্রামের কৃষক সোহেল রানা জানান, দেড় একর জমিতে তিনি মুগডাল আবাদ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসল নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
একই অবস্থা তালতলী উপজেলার কৃষকদেরও। তালতলীর গাবতলী গ্রামের ইসহাক হাওলাদার জানান, বৃষ্টির পানিতে খেসারি, মরিচ, বাদাম ও তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী ও তালতলী দুই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এস এম বদরুল আলম গতকাল শনিবার দুপুরে বলেন, দুই দিনের ব্যাপক বর্ষণে আমতলী ও তালতলী উপজেলার মুগডাল, তরমুজ, বাদাম, মরিচ, করলাসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ও খেতের পানি নামতে না পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক গুণে বেড়ে যাবে।