সচেতনতার অভাবে উন্নয়নকাজের সুফল মেলে না

‘সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং দারিদ্র্যবিমোচনমুখী সেবাদানের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনার। ছবি: প্রথম আলো
‘সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং দারিদ্র্যবিমোচনমুখী সেবাদানের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনার। ছবি: প্রথম আলো

সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের প্রচুর কর্মসূচি রয়েছে। তবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং গ্রহণকারীদের সচেতনতার অভাব থাকায় কর্মসূচিগুলোর সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে এনজিওগুলোর সচেতনতার কর্মসূচি ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। 

‘সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং দারিদ্র্যবিমোচনমুখী সেবাদানের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে কথাগুলো বলেন বক্তারা। রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনে আয়োজিত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি সংগঠন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর আয়োজন করে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) সহযোগিতায় এনজিও ফোরাম ২০১৪ সাল থেকে ‘হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুশাসন সুরক্ষিত করা’ (এসপিএসআরজি) নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার সেবাগুলো পেতে সচেতনতার বাড়িয়ে দরিদ্র জনগণকে সহায়তা করা। দেশের তিন জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সেমিনারে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, এনজিওগুলো উন্নয়নের মডেল তুলে ধরবে। বৃহৎ পরিসরে এই মডেল বাস্তবায়নে সরকার কাজ করবে। তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এনজিওগুলোর কাজ করা সম্ভব নয়। উভয়ের লক্ষ্যই যখন মানুষের কল্যাণ, তখন তাদের উভয়ের সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য।
প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঞ্জুরুল হান্নান বলেন, সরকার ও এনজিও একে অপরকে দোষারোপ না করে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করলে সাফল্য ত্বরান্বিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মহেশ চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে সরকারের পাশাপাশি এনজিওর ভূমিকা অনন্য।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন এসপিএসআরজি প্রকল্পের সমন্বয়ক মীম তাবাসসুম। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ প্রমুখ।