বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলমুক্ত দেখতে চান কামরাঙ্গীরচরবাসী

বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলমুক্ত করে পুনঃখননের মাধ্যমে এর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন কামারাঙ্গীরচরবাসী।

গতকাল সোমবার ঢাকার নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) জন্য রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এলাকাভিত্তিক জনমত যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবির কথা উঠে আসে। সেখানে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় রাজউকের নগর-পরিকল্পনাসহ কয়েকটি শাখার সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিশেষ একটি দল।

বড়গ্রাম এলাকায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা অংশ নেন। তাঁদের সবার মূল দাবি ছিল বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখলমুক্ত করে এর নান্দনিক সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার ও এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার নিরসন।

পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের কিছুটা পশ্চিমে চাঁদনীঘাট এলাকায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার উত্তর দিকের শাখাটি আদি চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। আর দক্ষিণের শাখাটি এখনকার মূল বুড়িগঙ্গা। এ দুই ধারার মাঝেই কামরাঙ্গীরচর এলাকাটি অবস্থিত। বর্তমানে এই এলাকার অল্প কিছু প্রবহমান অংশ ছাড়া আদি চ্যানেলের অধিকাংশ জায়গায় গড়ে উঠেছে নানা অবৈধ স্থাপনা। দুই দশক আগেও চ্যানেলটি হাজারীবাগ, রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুরের পাশ দিয়ে আবার বুড়িগঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তরের তৈরি করা এক তালিকায় এই চ্যানেল দখলকারী ছোট-বড় ৫২টি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে। আদি চ্যানেল দখলমুক্ত করার দাবির বিষয়ে সভায় উপস্থিত নতুন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সিএস, আরএস ও মহানগর জরিপে যদি দখলকৃত জায়গা নদী আকারে থাকে তাহলে যেভাবেই হোক তা উদ্ধার করা হবে।

রাজউকের কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস স্থানীয়দের

সভায় উপস্থিত রাজউকের কর্মকর্তারা জানান, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রাজউকের সদস্যরা কাজ করতে এলে তাঁরা নানাভাবে এলাকাবাসীর বাধার সম্মুখীন হন। কিছুদিন আগে দায়িত্ব পালন করতে আসা রাজউকের এক ইমারত পরিদর্শককে আটকে রাখার অভিযোগও করেন তাঁরা।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সরকার বলেন, কামরাঙ্গীরচর এলাকাকে একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে রাজউকের কার্যক্রম সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনে মাইকিং করা হবে।

ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।