শ্রীমঙ্গলে শিশু ও মতলবে তরুণী ধর্ষণের শিকার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ওই ছাত্রী মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এদিকে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এক তরুণী (২২) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ধনারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে ওই তরুণী তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

শ্রীমঙ্গলে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের জাহির মিয়া (২৫) এবং তাঁর সহযোগী তোফায়েল মিয়া (২০) ও তুহিন মিয়া (১৮)। এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যার দিকে জাহির মিয়া সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে ঘর থেকে জোর করে ধরে বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘরে আর কেউ ছিলেন না। পুলিশ বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। একজন পলাতক আছেন।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ধর্ষণ ও ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ (গতকাল) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

মতলব দক্ষিণে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলায়। তিনি ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। মামলার এজাহার ও তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল নয়টায় একটি যাত্রীবাহী বাসে করে ওই তরুণী ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই দিন বেলা একটায় তিনি বাস থেকে ধনারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামেন। সেখান থেকে বাড়ি যেতে তিনি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় ধনারপাড় এলাকাসংলগ্ন পদ্মপাল গ্রামের বখাটে মো. রুবেল (২০), মো. সুমন (২২) ও ওমর সানি (২০) মেয়েটির গতি রোধ করেন এবং তাঁকে কৌশলে ওই এলাকার (ধনারপাড়) একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যান। এলাকার লোকজন সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাত নয়টায় ওই তরুণী মো. রুবেল, মো. সুমন ও ওমর সানিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই দিন রাতে ওই তরুণীকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে তরুণীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও মো. রুবেল, মো. সুমন ও ওমর সানির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ঘটনার পর থেকে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।