সেতুর পাটাতন উঠে যান চলাচল বন্ধ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রৌহা এলাকায় টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের ওপর একটি সেতুর পাটাতন গত রোববার রাতে উঠে গেছে। এ কারণে সড়কটি দিয়ে যাত্রীবাহীসহ ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এই সড়কের অধিকাংশ সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মেরামত কিংবা সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব পাশে ইস্পাতের পাটাতন উঠে গেছে। ফলে সড়কটি দিয়ে মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।

এলাকার লোকজন বলেন, টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কে ১২টি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত সড়কটিতে অবস্থিত লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজ-সংলগ্ন রাজাবাড়ী সেতু, ফুলতলা, সয়া, নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড, সিংগুরিয়া, কাগমারী পাড়া ও শিয়ালকোল সেতু দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোনো সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে, কোনোটির মাঝখানে গর্ত হয়ে গেছে।

কয়েকজন বলেন, সড়কটি দিয়ে কালিহাতী, ভূঞাপুর, ঘাটাইলসহ কয়েকটি উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাফেরা করে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি সার কারখানার মালামাল আনা-নেওয়ার প্রধান সড়ক এটি। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পথের যানবাহনগুলো বিকল্প হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করে।

টাঙ্গাইলগামী আলতাফ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, শুধু রৌহা সেতু নয়, এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত প্রায় সব সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সেতুগুলো এত দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ নেই।

হারুন অর রশিদ নামের একজন বাসচালক বলেন, সড়কটির প্রায় সব সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ। সেতুগুলোর ওপরে গাড়ি নিয়ে উঠলে মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়ল।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের টাঙ্গাইলের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাকিম বলেন, ‘এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের রৌহা ব্রিজের পাটাতন উঠে যাওয়ায় সড়কটিতে ভারী যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রিজটি সাময়িকভাবে মেরামতের জন্য আমাদের লোক কাজ করছে। কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে, সেটা বলা যাচ্ছে না।’