যুবলীগের নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে বেড়া দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাহমুদপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবীর গতকাল বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। ওই জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণে দুই পক্ষকে নিষেধ করা হয়েছে। দুই পক্ষকে জমির সব কাগজপত্র নিয়ে আগামীকাল (আজ) থানায় আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জিডি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, মাহমুদপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুল জলিল ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনের বাজার এলাকায় ৩৪ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাজার এলাকায় বিরোধপূর্ণ দুই শতক জমি দখল করেন। খবর পেয়ে সেখানে রফিকুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যান। সন্ত্রাসীরা আক্রমণের চেষ্টা করায় তাঁরা ফিরে যান। এ ঘটনায় গতকাল সকালে রফিকুল মেলান্দহ থানায় জিডি করেন।

মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছর ধরে শাহিন ও আবদুল জলিলের নেতৃত্বে ওই চক্রটি আমার জমি দখলের চেষ্টা করছে। গত নভেম্বরে চক্রটি পাঁচ শতক জমি দখল করে নেয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে তারা ২ শতক জমি দখল করে। তাদের বাধা দেওয়ার সাহস পাইনি। ওই জমিতে আমাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন মুদিদোকানটি খুলতে দিচ্ছে না তারা। ফলে পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি।’

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন বলেন, ‘জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। জমিটি আমার কেনা। তারপরও রফিকুল ইসলাম ওই জমি দখলে রেখেছেন। তাই মঙ্গলবার আমার জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছি।’

আবদুল জলিল বলেন, ‘গত মঙ্গলবারের ঘটনায় আমি ছিলাম না। এর আগে ওখানে পাঁচ শতক জমি কিনেছিলাম। কিন্তু ওই জমি রফিকুল ইসলাম দখল করেছিলেন। গত নভেম্বরে সেই জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করেছি।’