কটিয়াদীতে হ্যাচারি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৭, গোলাগুলি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় পোনা উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের (হ্যাচারি) দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চান্দুপুর ইউনিয়নের মণ্ডলভোগ গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মণ্ডলভোগ গ্রামের নূরুল আমিন ১৯৯৩ সালে ১৫০ একর জমির ওপর মণ্ডলভোগ অ্যাগ্রো ফিশারি ও ফাইনফোর্ড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠান দুটির কিছু জমি কুষ্টিয়ার বিশ্বাস বিল্ডার্সের মালিক নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। নজরুল ইসলাম কাগজে-কলমে জায়গার মালিক হলেও তিনি সেখানে আসেন না। তাঁর পক্ষ থেকে মুন আহমেদ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জায়গাটি নিয়ন্ত্রণ ও দেখাশোনা করছিলেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান দুটি মুন আহমেদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল সকালে নূরুল আমিন প্রায় অর্ধশত লোকজন নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি দখল করতে যান। এ সময় গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন নূরুল আমিন, তাঁর পক্ষের মো. রাজ্জাক, হাসান মিয়া ও মুরাদ মিয়া এবং মুন আহমেদের পক্ষের লিটন মিয়া, রাজিব আহমেদ ও আজিজুল হক। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।

নূরুল আমিন বলেন, ‘আমি ২০ বছর সৌদি আরবে ছিলাম। প্রবাসের উপার্জিত অর্থ নিয়ে এসে গ্রামের বাড়িতে ফিশারি গড়ে তুলি। ওই ৬০ বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমার জায়গা ফিরে পেতে আজ বাধ্য হয়ে লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে মুন আহমেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করে। তাঁরা অসংখ্য গুলি ছোড়ে।’

মুন আহমেদ বলেন, ‘নূরুল আমিন ফিশারি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি জায়গা দখল করতে এলে আমাদের লোকজন প্রতিহত করে। এ সময় নূরুল আমিনের পক্ষ অসংখ্য গুলি ছোড়ে।’

সহকারী পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) জামাল উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মূলত ফিশারিজ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। গতকাল মালিকানা দাবি করে নূরুল আমিন লোকজন নিয়ে ফিশারি দখল করতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গোলাগুলির বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য নেই। এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউ মামলা করতে থানায় আসেননি।