সাগরে দস্যুর গুলিতে জেলে গুলিবিদ্ধ

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুর গুলিতে এফবি জাকিয়া ট্রলারের নাসির হোসেন নামের এক মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ওই ট্রলারের ৪ লাখ টাকার মাছসহ রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক গতকাল রোববার সকালে বলেন, গুলিবিদ্ধ নাসির হোসেন মাঝি (২৫) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জেলে মো. অলি ও জামাল হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গতকাল দুপুরে বলেন, পাথরঘাটা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে এফবি জাকিয়া ট্রলার নোঙর করে জেলেরা মাছ ধরছিলেন। এ সময় হঠাৎ ওই ট্রলারের কাছে দস্যুদের একটি ট্রলার আসে। ওই ট্রলার দেখে জেলেরা দ্রুত অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে জলদস্যুরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিতে নাসির মাঝির ঊরুর পেছনের দিকে গুলি লাগে। এ সময় ১২-১৫ জন দস্যু জেলেদের ট্রলারে উঠে মারধর শুরু করে। এতে অন্তত ৫ জন জেলে আহত হন। পরে তাঁরা ওই ট্রলারে থাকা ৪ লাখ টাকার মাছ, চাল, পানিসহ রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে এফবি জাকিয়া ট্রলারের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাছ ও রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ নাসির হোসেন মাঝিকে নিয়ে জেলেরা পাথরঘাটায় ফিরে আসেন। এতে সাগরে মাছ ধরার সব জাল কেটে দিয়ে আসতে হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. আনোয়ার উল্লাহ বলেন, গুলিবিদ্ধ নাসির মাঝির শরীরে একটি রাবার বুলেট ও শটগানের ১০ থেকে ১২টি স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে।