কাদের খানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

সাংসদ মনজুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ আবদুল কাদের খানের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুবের আদালতে এই আবেদন জানান কাদের খানের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে কারাগারে তাঁর ডিভিশন পাওয়ারও আবেদন জানানো হয়।

আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কাদের খানকে রিমান্ডে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো বলার জন্য প্ররোচিত করে। ওই সব কথা ওনার নিজের কথা নয়। নিজের ইচ্ছাকৃত বা স্বপ্রণোদিত কথা ছিল না। সেই কারণে উনি যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, তা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়।

জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল কাদের খানকে বগুড়া শহরের বাসায় ছয়দিন ‘নজরবন্দী’ করে রাখার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন গাইবান্ধার আদালতে হাজির করে তাঁকে দশদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশের রিমান্ডে থাকার তিন দিনের মাথায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আবদুল কাদের খান।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার বিকেল তিনটায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কাদের খান স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এই আসনেরই সাবেক সাংসদ কাদের খান।