যুবককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হলো

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বহলাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর ডান পা ভেঙে গেছে। নির্বাচনী বিরোধের জেরে গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত যুবকের নাম মনিরুল ইসলাম মল্লিক (২২)। এ ঘটনায় একই গ্রামের কাজল শেখকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মনিরুল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর নিজের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে কাজল তাঁকে ডেকে তোলেন। ঘর থেকে বের হওয়ার পরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ১৮-২০ জনের একটি দল তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মনিরুলের বাবা মুন্নাফ মল্লিক বলেন, তাঁর ছেলে গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সোবহানের সমর্থক ছিলেন। এ কারণেই বিজয়ী চেয়ারম্যানের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
সরিষা ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান বলেন, এবার বিজয়ী চেয়ারম্যান আজমল আল বাহারের লোকেরা ধারাবাহিকভাবে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাস বলেন, ‘সোবহান নিজেদের লোকদের দিয়ে মারধর করে নাটক সাজিয়েছেন। আমি বা আমার লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সরোজিত দাস বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনিরুলকে এখানে ভর্তি করা হয়। তাঁর ডান পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে একই ইউপির জাগিরবাগলি গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বিশ্বাস নামের আরেক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সোবহানের লোকজন এ হামলা চালায়।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মারধরের এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।