শ্রীনগরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার উত্তর সেলামতি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে আলেক ব্যাপারী (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আলেক উপজেলার উত্তর সেলামতি এলাকার প্রয়াত ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, রাত নয়টার দিকে কয়েক জন যুবক আলেক ব্যাপারীকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা গ্রামের সেতুর নিচে আলেককে ফেলে দিতে যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাঁকে ফেলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আলেককে প্রথমে স্থানীয় ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত দুইটার দিকে আলেক মারা যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, আলেক ব্যাপারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান রতন মিয়ার ক্লাবের সামনে তোরণ স্থাপনকে কেন্দ্র করে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে আলেক ব্যাপারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত শ্রীনগরে লাশ পৌঁছায়নি। লাশ আসার পর মামলা হবে।
আলেকের স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাঁর স্বামী বলেছেন বাজার থেকে আসার পথে সাগর, আবুল, রনি, সোনাই মেম্বারসহ আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে কুপিয়েছে। ইয়াছমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ইউপির নির্বাচনে রতন চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
শ্যামসিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান রতন মিয়া বলেন, ‘আলেকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ ছিল না। হত্যাকারীরা আমার লোক নয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাগর ও সোনাই মেম্বার ছাড়া সবাই ঢাকায় থাকেন।’
শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর আগে আলেক ব্যাপারী তাঁর স্বজনদের কাছে হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।