সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাইয়ের কনভেনশন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কনভেনশন ও পুনর্মিলনী। সকালে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
‘নান্দনিক সভ্যতার উত্থান, পুরকৌশলীদের অবদান’ স্লোগান সামনে রেখে গতকাল ছুটির দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী। বক্তব্য দেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক গণেশ চন্দ্র সাহা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক গাজী মো. আলতাফুজ্জামান, বসুন্ধরা সিমেন্টের পক্ষে সরোজ কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। প্রথম পর্বে গ্র্যাজুয়েটরা গায়ে গেঞ্জি, মাথায় টুপি পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। অনেকেই ক্যাম্পাসে এসেছিলেন সপরিবার। কে কোন হলের কোনো রুমে থাকতেন, তা সন্তানদের দেখান। কেউ পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরেন। বিকেলে মাঠের কোন কিনারে বসে গল্প-আড্ডা হতো, কোথায় খেলাধুলা করতেন, সেসব পুরোনো স্মৃতি রোমন্থনও করেন। গান-বাজনা, আলাপ-আলোচনায় সময় পার করেন।
এই পর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ১৯৮০ সালে ঢাকা কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যে চারাগাছ রোপণ করা হয়েছিল, কালক্রমে তা বিকশিত হয়ে ডুয়েট-এ পরিণত হয়েছে। তিনি এই অনুষ্ঠানকে ডুয়েটের ঈদ বলে অভিহিত করেন। ডুয়েটকে ‘মা’-এর সঙ্গে তুলনা করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে মায়ের বড় সন্তান বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, বড় ছেলের আয়োজন দেখে অন্য ছেলেরাও (অন্য বিভাগগুলো) এ ধরনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং ‘মা’ তথা ডুয়েটকে বিকশিত করবে।
আয়োজক কমিটির পক্ষে আলতাফুজ্জামান বলেন, ডুয়েটের প্রয়োজনে প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েটরা যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন।
উদ্বোধনী পর্বের পরেই শুরু হয় খেলাধুলা প্রতিযোগিতা। এখানে রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটদের সন্তানেরা অংশগ্রহণ করে। এরপর শুরু হয় টেকনিক্যাল সেশন। এখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. শামীম জেড বসুনিয়া ও ডুয়েটের অধ্যাপক মো. শওকত ওসমান।
তৃতীয় পর্ব কনভেনশনে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. মখলেসুর রহমান, ডুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফকরুল হায়দার চৌধুরী, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সারা দিনের আলাপ-আলোচনা ও স্মৃতি রোমন্থন শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।