আ.লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত

পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারিতে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার বৈকারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফসার দফাদার গত ২৬ মার্চ মারা যান। এ উপলক্ষে তাঁর ছেলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী গতকাল শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে গেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের ওপর হামলা করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান-সমর্থক মনিরুল ইসলামকেও মারধর করেন তাঁরা।
এ ঘটনার পরপরই ফজলুর রহমানের সমর্থক লিটন হোসেন, ফরহাদ হোসেন, ইকবাল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। তাঁরা ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ঘোনা ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাসানুর রহমানসহ তিনজনকে মারধর করেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ২৩ মার্চ কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি ৩০ মার্চ প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী রাজিব হায়দার, কামাল হোসেন ও ইউনুস আলীকে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন। এরই জের ধরে গতকাল একটি চেহলাম অনুষ্ঠানে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁর সমর্থকেরা এক হয়ে হামলাকারীদের খুঁজতে থাকলে তাঁরা পালিয়ে যান।